
ঊষার বাণী: ২৫ নভেম্বর ২০২
।লাইফস্টাইল ডেস্ক।
শীতকালে বায়ু দূষণের মাত্রা বাড়ে। ধোঁয়া, কার্বন ডাই অক্সাইড, মিথেন এবং বায়ুর সাথে মিশ্রিত আরও অনেক ক্ষতিকারক পদার্থ হাঁপানি, ফুসফুসের সংক্রমণ, হাঁপানি এবং অন্যান্য অনেক রোগের কারণ হতে পারে।
কেমিক্যাল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং নিউজ সাময়িকীতে সাম্প্রতিক প্রকাশিত একটি গবেষণা বায়ু দূষণের ক্ষতিকারক প্রভাবগুলি সম্পর্কে একটি বিশদ গবেষণা চালিয়েছিল। গবেষণার সাথে যুক্ত গবেষকরা বলছেন যে বাচ্চা থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্ক সকলের শরীরে বায়ু দূষণের ক্ষতিকারক প্রভাব রয়েছে। এটি ক্ষণস্থায়ী হতে পারে, এটি দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডাব্লুএইচও) বলছে যে বায়ু দূষণ এবং বায়ুর গুণগতমান হ্রাসের কারণে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৪২ মিলিয়ন মানুষ অকালে মৃত্যুবরণ করেছে। বায়ু দূষণ এর জন্য মারাত্মকভাবে দায়ী।
সুতরাং বায়ু দূষণ এড়াতে যে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত তা হ’ল-
## প্রতিদিন বাইরে যাওয়ার আগে আপনার আবহাওয়ার প্রতিবেদন এবং বায়ু দূষণের মাত্রা সম্পর্কে জানতে হবে। সকালে যদি কুয়াশা বা দূষণের বর্ধনের খবর পাওয়া যায়, তবে কোনও রাস্তায় বা পার্কে অনুশীলনের জন্য না বেরোনাই ভাল।
## যে জায়গাগুলিতে ট্র্যাফিক জ্যাম রয়েছে সেগুলি থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে খালি জায়গায় সাইকেল চালাতে পারবেন। এই ক্ষেত্রে, গাড়ী থেকে দূষিত ধোঁয়া শ্বাসযন্ত্রের ট্র্যাক্টে পৌঁছাবে না।
## বায়ু দূষণের কারণ হিসাবে যে কোনও শক্তির উৎস থেকে দূরে থাকুন। ঘরে যদি এমন কোনও ডিভাইস থাকে তবে এর ব্যবহার হ্রাস করা উচিত। কিছু আসবাব ও জিনিস সেই জায়গাতে ব্যবহার করা দরকার যা জ্বালানী বা জ্বালানি পুনর্নবীকরণে সহায়তা করে।
## ঠান্ডা থেকে বাঁচার জন্য আপনার ঘরে আগুন জ্বালানো উচিত নয়।
## ঘরে বসে ধূমপান করা থেকে দুরে থাকুন।
## এছাড়া কয়েলের ধোঁয়া ও এয়ার ফ্রেস বায়ু দূষণে একটি অন্যতম কারন।
কাজেই শুধু বাইরেই নয় বাড়ির ভিতরেও আমাদের বায়ু দূষণ সম্পর্কে সচেতন থাকা উচিত।